গুচ্ছের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব কেন্দ্রেই মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোটবাড়ি সংলগ্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) কেন্দ্রে ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এ দুটি কেন্দ্রে মোবাইলফোন নিয়ে হলরুমে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্রে গিয়ে এর সত্যতা দেখা যায়। এ বিষয়ে টিটিসি কেন্দ্রের দায়িত্বরত বিএনসিসির এক সদস্য বলেন, আমরা শুরুর দিকে বিএনসিসি এবং রোভাররা ফোন নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেইনি।
কিন্তু পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেলে এখানে দায়িত্বরত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাররা এসে আমাদের বলেছেন এখানে যেহেতু বেশি জটের সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে তারা আপাতত ফোন নিয়েই ভেতরে যাক। তাদেরকে বলা হয়েছে ভেতরে যে শিক্ষক আছে তাদের কাছে যেন ফোন জমা দিয়ে তারপর পরীক্ষার হলে বসে।
আর অনেক অভিভাবক পরীক্ষার আগেই কেন্দ্রে ঢুকে অবস্থান করতেও দেখা যায়। আমরা ৮টার পর এসে দেখি তারা ভেতরে অবস্থান করছে পরবর্তীতে তাদের সংখ্যা বেশি থাকার কারণে তাদের আর বাহির করা সম্ভব হয়নি।
টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) কেন্দ্রের কেন্দ্র সমন্বয়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি যাতে ফোন না নিয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু তারপরেও যদি কেউ নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে তো আমাদের কিছু করার নাই। তবুও আমরা পরীক্ষা শুরুর আগে আবারো শিক্ষার্থীদের সামনে ফোন রেখে পরীক্ষায় বসতে বলেছি।
‘এ’ ইউনিটের আহবায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, সকল শিক্ষককে বলে দেয়া হয়েছে যাতে মোবাইল পেলে সামনে টেবিলে জমা নিয়ে রাখে। আর মোবাইল নিয়ে কেউ পরীক্ষা দিয়েছে বলে অভিযোগ এখনো পাইনি।
উল্লেখ্য, দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ এ ইউনিটের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর ১৩ আগস্ট ‘বি’ ইউনিট ও ২০ আগস্ট ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।